এ সময়ের পেশা মার্চেন্টাইজিং
শাম্মি আখতার
আমাদের দেশের বেশিরভাগ শিৰার্থিরাই ছেলেবেলা থেকে একটি নির্দিষ্ট পেশাকে লৰ্য রেখে পড়ালেখা করে না বা করতে পারে না। তাই শিৰাজীবন শেষে অনেকে বেকারত্বকে বরণ করে হতাশায় নিমজ্জিত হন। ক্যারিয়ার নিয়ে সারাদিন নানা রকমের চিনত্মাভাবনা করেও কোন কুলকিনারা বের করতে পারেন না। কিন্তু শিৰাজীবনে যারা লৰ্য বা এইম ঠিক করতে পারেননি, তাঁরা একটু সচেতন হলেই পাল্টে দিতে পারেন ভবিষ্যত জীবনটাকে। চাকরি নামক সোনার হরিণটাকে করতে পারেন করায়ত। যারা স্থির স্বভাবের, চ্যালেঞ্জ গ্রহণে সৰম, ঝুঁকি নিতে মোটেও ভিত নয়, এমন মানুষদের জন্য চমৎকার পেশা মার্চেন্টাইজিং।
পেশার ধরন
এটি একটি দায়িত্বপূর্ণর্ পেশা। ইংরেজী মার্চেন্ট থেকে মার্চেন্টাইজিং শব্দটি এসেছে। যার অর্থ সওদাগরি। মনে একটু খটকা লাগতে পারে। খোলাসা করে বলা যাক। কাজটা হলো এ ধারকা মাল ও ধার। অর্থাৎ কোন পণ্য ক্রেতার পচ্ছন্দ ও চাহিদার ওপর ভিত্তি করে প্রস্তুতকারীকে দিয়ে তৈরি করানো। পরবতর্ীতে ক্রেতাদের নিকট বিক্রি করে পর্যাপ্ত মুনাফা অর্জন। তবে এৰেত্রে উলেস্নখ্য যে, আমাদের গার্মেন্টস বা রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পেই এই পেশার চাহিদা ও কর্মসংস্থান সবচেয়ে বেশি। পটভূমি ও বর্তমান পরিস্থিতি আশির দশকের পূর্বে আমাদের দেশে মার্চেন্টাইজিং পেশার কর্মৰেত্র ছিল না। শুধু তাই নয়, এ পেশা সম্পর্কে সাধারণ মানুষ জানত না। তবে আশির দশকের মাঝামাঝি আমাদের পেশে গার্মেন্টস শিল্প স্থাপনের পর থেকে এ পেশার কর্মৰেত্র সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে ধীরে ধীরে এ পেশার ক্রমন্বয়নও কর্মপরিধী বেড়েছে। বর্তমানে পেশাটি বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য ও সমাদৃত।
কর্মসংস্থানের সুযোগ
বর্তমানে আমাদের দেশের সর্বাধিক কর্মসংস্থানের খাত হলো পোমাক শিল্প। পোশাক শিল্পের উত্তর উত্তর অগ্রগতি হচ্ছে সেই সংগে বাড়ছে এ পেশার অর্থাৎ মার্চেন্টাইজিং পেশার কর্মৰেত্র। গার্মেন্টস ও গার্মেন্টস সংশিস্নষ্ট বায়িং হাউসগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রশিৰত অভিজ্ঞ মার্চেন্টাইজার প্রয়োজন হয়। তাই এ পেশায় কাজ পাওয়ার সুযোগটাও অনেক বেশি। বাংলাদেশ থেকে সারাবিশ্বে তিন ধরনের তৈরি পেশাক রফতানি করে থাকে ওভেন নীট, সোয়েটার। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে চামড়া শিল্প রফতানিমুখী হওয়ায় সেখানেও প্রয়োজন মার্চেন্টাইজার। এছাড়া বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের বিভিন্ন ধরনের ৰুদ্র ও কুটির শিল্প রফতানি হতে শুরম্ন করেছে, সেৰেত্রেও প্রয়োজন মার্চেন্টাইজার। অর্থাৎ আমাদের দেশে মার্চেন্টাইজারের কর্মৰেত্রে রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা।
মার্চেন্টাইজার হতে যা প্রয়োজন
শুরম্নর দিকে মার্চেন্টাইজার নিয়োগ করা হতো এমন লোকদের যারা বাংলা ও ইংরেজী লিখতে পারে। বিশেষ করে ইংরেজীতে নূ্যনতম গার্মেন্টস সম্পর্কে লিখতে পারলেই হতো। কিন্তু পেশাটি আনত্মর্জাতিক ৰেত্রে যথেষ্ট গুরম্নত্বপূর্ণ হওয়ার কারণে পরবতর্ীতে নিয়ম পরিবর্তিত হয়। বর্তমানে মার্চেন্টাইজার হিসেবে কাজ পেতে হলে অবশ্যই নূ্যনতম স্নাতক পাস হতে হবে। সেই সংগে ইংরেজী ভাষায় দৰ হতে হবে। যেহেতু মার্চেন্টাইজারকে বেশিরভাগ কাজ করতে হয় বিদেশীদের সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাই কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কেও ধারণা থাকতে হবে।
প্রয়োজন প্রশিৰণ
মার্চেন্ডাইজারকে কর্মৰেত্রে নানা বিষয়ে খুঁটিনাটি বিভিন্ন কার্য সম্পাদন করতে হয় যেমন কাপড় কেমন হবে রং কেমন হবে সুতা সেলাই, বোতাম, সাইজসহ সবকিছু তাই প্রশিৰণ থাকাটা জরম্নরী। প্রশিৰণ থাকলে ছোটখাটো সব ধরনের সমস্যার সমাধান নিজেই পৰেই করা সম্ভব।
কোথায় নেবেন
বর্তমানে ঢাকায় বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে মার্চেন্টাইজিং বিষয়ে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিৰণের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে বিজেএমইএ (বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফাকচারিং এ্যান্ড এঙ্পোর্ট এ্যাসোসিয়েশন) এ অধীনে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী প্রশিৰণের ব্যবস্থা রয়েছে। মার্চেন্টাইজিং পেশায় যারা ক্যারিয়ার গড়তে চান তাদের জন্য এই প্রশিৰণটি অত্যনত্ম প্রয়োজনীয়। এছাড়া কিছু বায়িং হাউজ ও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের মার্চেন্টাইজিং এ স্বল্প মেয়াদী প্রশিৰণের সুযোগ রয়েছে।
উপার্জন:
অন্য অনেক পেশার তুলনায় মার্চেন্টাইজিং পেশায় উপার্জন বেশ ভাল। ছোট মাঝারি বা বড় গার্মেন্টস বাইং হাউজ ভেদে প্রারাম্ভিক বেতন কম বেশি হলেও, দৰতা অর্জনে সৰম হলে খুব অল্প সময়ে পর্যাপ্ত পারিশ্রমিক পাওয়া সম্ভব। আর যদি আনত্মর্জাতিক মানের বা বহুজাতিক বায়িং হাউস হলে পারিশ্রমিকের পরিমাণ কয়েক লাখ টাকা হতে পারে। এছাড়া অন্যান্য সুবিধা তো রয়েছেই।
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় পেশার অন্যতম মার্চেন্টাইজিং। আধুনিক ও সময়োপযোগী হওয়ায় বিশ্বব্যাপী এর রয়েছে গ্রহণযোগ্য। যাঁরা কাজকে ভালবাসেন তাঁদের বিশ্বমানের কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে চান তাঁদের পেশা মার্চেন্টাইজিং।
আমাদের দেশের বেশিরভাগ শিৰার্থিরাই ছেলেবেলা থেকে একটি নির্দিষ্ট পেশাকে লৰ্য রেখে পড়ালেখা করে না বা করতে পারে না। তাই শিৰাজীবন শেষে অনেকে বেকারত্বকে বরণ করে হতাশায় নিমজ্জিত হন। ক্যারিয়ার নিয়ে সারাদিন নানা রকমের চিনত্মাভাবনা করেও কোন কুলকিনারা বের করতে পারেন না। কিন্তু শিৰাজীবনে যারা লৰ্য বা এইম ঠিক করতে পারেননি, তাঁরা একটু সচেতন হলেই পাল্টে দিতে পারেন ভবিষ্যত জীবনটাকে। চাকরি নামক সোনার হরিণটাকে করতে পারেন করায়ত। যারা স্থির স্বভাবের, চ্যালেঞ্জ গ্রহণে সৰম, ঝুঁকি নিতে মোটেও ভিত নয়, এমন মানুষদের জন্য চমৎকার পেশা মার্চেন্টাইজিং।
পেশার ধরন
এটি একটি দায়িত্বপূর্ণর্ পেশা। ইংরেজী মার্চেন্ট থেকে মার্চেন্টাইজিং শব্দটি এসেছে। যার অর্থ সওদাগরি। মনে একটু খটকা লাগতে পারে। খোলাসা করে বলা যাক। কাজটা হলো এ ধারকা মাল ও ধার। অর্থাৎ কোন পণ্য ক্রেতার পচ্ছন্দ ও চাহিদার ওপর ভিত্তি করে প্রস্তুতকারীকে দিয়ে তৈরি করানো। পরবতর্ীতে ক্রেতাদের নিকট বিক্রি করে পর্যাপ্ত মুনাফা অর্জন। তবে এৰেত্রে উলেস্নখ্য যে, আমাদের গার্মেন্টস বা রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পেই এই পেশার চাহিদা ও কর্মসংস্থান সবচেয়ে বেশি। পটভূমি ও বর্তমান পরিস্থিতি আশির দশকের পূর্বে আমাদের দেশে মার্চেন্টাইজিং পেশার কর্মৰেত্র ছিল না। শুধু তাই নয়, এ পেশা সম্পর্কে সাধারণ মানুষ জানত না। তবে আশির দশকের মাঝামাঝি আমাদের পেশে গার্মেন্টস শিল্প স্থাপনের পর থেকে এ পেশার কর্মৰেত্র সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে ধীরে ধীরে এ পেশার ক্রমন্বয়নও কর্মপরিধী বেড়েছে। বর্তমানে পেশাটি বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য ও সমাদৃত।
কর্মসংস্থানের সুযোগ
বর্তমানে আমাদের দেশের সর্বাধিক কর্মসংস্থানের খাত হলো পোমাক শিল্প। পোশাক শিল্পের উত্তর উত্তর অগ্রগতি হচ্ছে সেই সংগে বাড়ছে এ পেশার অর্থাৎ মার্চেন্টাইজিং পেশার কর্মৰেত্র। গার্মেন্টস ও গার্মেন্টস সংশিস্নষ্ট বায়িং হাউসগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রশিৰত অভিজ্ঞ মার্চেন্টাইজার প্রয়োজন হয়। তাই এ পেশায় কাজ পাওয়ার সুযোগটাও অনেক বেশি। বাংলাদেশ থেকে সারাবিশ্বে তিন ধরনের তৈরি পেশাক রফতানি করে থাকে ওভেন নীট, সোয়েটার। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে চামড়া শিল্প রফতানিমুখী হওয়ায় সেখানেও প্রয়োজন মার্চেন্টাইজার। এছাড়া বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের বিভিন্ন ধরনের ৰুদ্র ও কুটির শিল্প রফতানি হতে শুরম্ন করেছে, সেৰেত্রেও প্রয়োজন মার্চেন্টাইজার। অর্থাৎ আমাদের দেশে মার্চেন্টাইজারের কর্মৰেত্রে রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা।
মার্চেন্টাইজার হতে যা প্রয়োজন
শুরম্নর দিকে মার্চেন্টাইজার নিয়োগ করা হতো এমন লোকদের যারা বাংলা ও ইংরেজী লিখতে পারে। বিশেষ করে ইংরেজীতে নূ্যনতম গার্মেন্টস সম্পর্কে লিখতে পারলেই হতো। কিন্তু পেশাটি আনত্মর্জাতিক ৰেত্রে যথেষ্ট গুরম্নত্বপূর্ণ হওয়ার কারণে পরবতর্ীতে নিয়ম পরিবর্তিত হয়। বর্তমানে মার্চেন্টাইজার হিসেবে কাজ পেতে হলে অবশ্যই নূ্যনতম স্নাতক পাস হতে হবে। সেই সংগে ইংরেজী ভাষায় দৰ হতে হবে। যেহেতু মার্চেন্টাইজারকে বেশিরভাগ কাজ করতে হয় বিদেশীদের সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাই কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কেও ধারণা থাকতে হবে।
প্রয়োজন প্রশিৰণ
মার্চেন্ডাইজারকে কর্মৰেত্রে নানা বিষয়ে খুঁটিনাটি বিভিন্ন কার্য সম্পাদন করতে হয় যেমন কাপড় কেমন হবে রং কেমন হবে সুতা সেলাই, বোতাম, সাইজসহ সবকিছু তাই প্রশিৰণ থাকাটা জরম্নরী। প্রশিৰণ থাকলে ছোটখাটো সব ধরনের সমস্যার সমাধান নিজেই পৰেই করা সম্ভব।
কোথায় নেবেন
বর্তমানে ঢাকায় বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে মার্চেন্টাইজিং বিষয়ে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিৰণের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে বিজেএমইএ (বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফাকচারিং এ্যান্ড এঙ্পোর্ট এ্যাসোসিয়েশন) এ অধীনে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী প্রশিৰণের ব্যবস্থা রয়েছে। মার্চেন্টাইজিং পেশায় যারা ক্যারিয়ার গড়তে চান তাদের জন্য এই প্রশিৰণটি অত্যনত্ম প্রয়োজনীয়। এছাড়া কিছু বায়িং হাউজ ও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের মার্চেন্টাইজিং এ স্বল্প মেয়াদী প্রশিৰণের সুযোগ রয়েছে।
উপার্জন:
অন্য অনেক পেশার তুলনায় মার্চেন্টাইজিং পেশায় উপার্জন বেশ ভাল। ছোট মাঝারি বা বড় গার্মেন্টস বাইং হাউজ ভেদে প্রারাম্ভিক বেতন কম বেশি হলেও, দৰতা অর্জনে সৰম হলে খুব অল্প সময়ে পর্যাপ্ত পারিশ্রমিক পাওয়া সম্ভব। আর যদি আনত্মর্জাতিক মানের বা বহুজাতিক বায়িং হাউস হলে পারিশ্রমিকের পরিমাণ কয়েক লাখ টাকা হতে পারে। এছাড়া অন্যান্য সুবিধা তো রয়েছেই।
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় পেশার অন্যতম মার্চেন্টাইজিং। আধুনিক ও সময়োপযোগী হওয়ায় বিশ্বব্যাপী এর রয়েছে গ্রহণযোগ্য। যাঁরা কাজকে ভালবাসেন তাঁদের বিশ্বমানের কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে চান তাঁদের পেশা মার্চেন্টাইজিং।
Source: www.dailyjanakantha.com
Related All Post:
পোশাক শিল্পে চাকরির সুযোগ
গাইড: গার্মেন্টনির্ভর সময়োপযোগী পেশাপেশা হিসেবে গার্মেন্টস মার্চেন্ডাইজিং || এ সময়ের পেশা মার্চেন্টাইজিং
Related All Subject (Many post in one subject):