ইউরোপের বাজার দখলে মরিয়া ভারত, চাপে তৈরি পোশাক খাত
ঢাকা, ০২ নভেম্বর : বাংলাদেশের রপ্তানিখাতের প্রধান বাজার ইউরোপ দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে প্রতিবেশী ভারত। এ লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।
এ বছরের মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ এ চুক্তি সই করতে চায় ভারত। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে জানা গেছে। এ চুক্তি কার্যকর হলে ইইউভুক্ত দেশে শুল্কমুক্ত সুবিধায় পণ্য রপ্তানির সুবিধা পাবে দেশটি। এটি ভারতের জন্য বড় ধরনের সুযোগ তৈরি করলেও তা বাংলাদেশের বিশেষ করে পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা রপ্তানিকারকদের।
পোশাক রপ্তানিকারকদের আশঙ্কা, ভারত এ সুবিধা পেলে ইইউ জোটভুক্ত ২৭ দেশে বাংলাদেশের অন্তত ৩০ শতাংশ রপ্তানি আয় কমবে। শুল্কমুক্ত সুবিধার কারণেই রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পে প্রতিযোগিতায় টিকে আছে বাংলাদেশ। তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি বাজার ইইউ।
ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই সমপ্রতি ওই দেশের পররাষ্ট্র সচিব এসআর রাওকে উদ্বৃত করে জানায়, ইইউর সঙ্গে এফটিএ করার বিষয়ে আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু বিষয়ে মতৈক্য হয়েছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ চুক্তি স্বাক্ষরের চেষ্টা চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জানা গেছে, আলোচিত এই এফটিএ চুক্তি কার্যকর হলে এর আওতায় ভারত ইইউভুক্ত দেশে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের মতো শুল্কমুক্ত রপ্তনি সুযোগ বা জিএসপি সুবিধা পাবে। ফলে তৈরি পোশাকের আন্তর্জাতিক বাজারে ভারত খুব দ্রুত প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পাবে। এতে বাংলাদেশকে আরও অনেক বেশি প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হবে। সংশ্লিষ্টদের মতে, বৃহত্তর প্রতিযোগী হিসেবে এ বিষয়টি বাংলাদেশকে চাপে ফেলবে।
তৈরি পোশাকের বিশ্ববাজারের শীর্ষ দশ রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান দ্বিতীয়। আর ভারতের অবস্থান পঞ্চম। বর্তমানে মোট রপ্তানি আয়ের ৫৭ শতাংশ আসে ইইউ বাজার থেকে। গত বছর জানুয়ারিতে দ্বি-স্তর থেকে এক স্তরের রফতানি সুবিধায় ইউরোপজুড়ে মন্দা সত্ত্বেও পোশাক খাতের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ২৮ শতাংশে পৌঁছেছে।
সমপ্রতি এমসিসিআই আয়োজিত এক সেমিনারে ট্যারিফ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ভারতের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা সফল হলে এ দেশের পোশাক রপ্তানি বড় ধরনের ধাক্কা খাবে। এমনকি এ চাপে দেশের পোশাক রপ্তানি ২৫-৩০ শতাংশ কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি এখনই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেন।
এ ব্যাপারে বিজিএমইএ সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, দেশে তৈরি পোশাক খাতে গত বছরের তুলনায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে ১২ শতাংশ। অন্যদিকে ক্রেতারা পোশাকের দাম আগের চেয়ে কমিয়েছেন। এ ধরনের অনেক সমস্যার মুখোমুখি এখন পোশাক খাত। তবে এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় উৎকণ্ঠার বিষয় হচ্ছে ভারতের সঙ্গে ইইউর দ্বিপক্ষীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি। তিনি বলেন, যতদূর জেনেছি, এ নিয়ে উভয় পক্ষের আলোচনা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। চলতি বছরের শেষার্ধে অথবা আগামী বছরের শুরুতে এ চুক্তি কার্যকর হতে পারে।
ভারতের এফটিএ সুবিধাপ্রাপ্তির সম্ভাবনা ছাড়াও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে এ দেশের তৈরি পোশাক খাত চাপে রয়েছে বলে মহিউদ্দিন জানান।
এ বছরের মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ এ চুক্তি সই করতে চায় ভারত। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে জানা গেছে। এ চুক্তি কার্যকর হলে ইইউভুক্ত দেশে শুল্কমুক্ত সুবিধায় পণ্য রপ্তানির সুবিধা পাবে দেশটি। এটি ভারতের জন্য বড় ধরনের সুযোগ তৈরি করলেও তা বাংলাদেশের বিশেষ করে পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা রপ্তানিকারকদের।
পোশাক রপ্তানিকারকদের আশঙ্কা, ভারত এ সুবিধা পেলে ইইউ জোটভুক্ত ২৭ দেশে বাংলাদেশের অন্তত ৩০ শতাংশ রপ্তানি আয় কমবে। শুল্কমুক্ত সুবিধার কারণেই রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পে প্রতিযোগিতায় টিকে আছে বাংলাদেশ। তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি বাজার ইইউ।
ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই সমপ্রতি ওই দেশের পররাষ্ট্র সচিব এসআর রাওকে উদ্বৃত করে জানায়, ইইউর সঙ্গে এফটিএ করার বিষয়ে আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু বিষয়ে মতৈক্য হয়েছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ চুক্তি স্বাক্ষরের চেষ্টা চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জানা গেছে, আলোচিত এই এফটিএ চুক্তি কার্যকর হলে এর আওতায় ভারত ইইউভুক্ত দেশে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের মতো শুল্কমুক্ত রপ্তনি সুযোগ বা জিএসপি সুবিধা পাবে। ফলে তৈরি পোশাকের আন্তর্জাতিক বাজারে ভারত খুব দ্রুত প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পাবে। এতে বাংলাদেশকে আরও অনেক বেশি প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হবে। সংশ্লিষ্টদের মতে, বৃহত্তর প্রতিযোগী হিসেবে এ বিষয়টি বাংলাদেশকে চাপে ফেলবে।
তৈরি পোশাকের বিশ্ববাজারের শীর্ষ দশ রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান দ্বিতীয়। আর ভারতের অবস্থান পঞ্চম। বর্তমানে মোট রপ্তানি আয়ের ৫৭ শতাংশ আসে ইইউ বাজার থেকে। গত বছর জানুয়ারিতে দ্বি-স্তর থেকে এক স্তরের রফতানি সুবিধায় ইউরোপজুড়ে মন্দা সত্ত্বেও পোশাক খাতের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ২৮ শতাংশে পৌঁছেছে।
সমপ্রতি এমসিসিআই আয়োজিত এক সেমিনারে ট্যারিফ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ভারতের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা সফল হলে এ দেশের পোশাক রপ্তানি বড় ধরনের ধাক্কা খাবে। এমনকি এ চাপে দেশের পোশাক রপ্তানি ২৫-৩০ শতাংশ কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি এখনই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেন।
এ ব্যাপারে বিজিএমইএ সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, দেশে তৈরি পোশাক খাতে গত বছরের তুলনায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে ১২ শতাংশ। অন্যদিকে ক্রেতারা পোশাকের দাম আগের চেয়ে কমিয়েছেন। এ ধরনের অনেক সমস্যার মুখোমুখি এখন পোশাক খাত। তবে এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় উৎকণ্ঠার বিষয় হচ্ছে ভারতের সঙ্গে ইইউর দ্বিপক্ষীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি। তিনি বলেন, যতদূর জেনেছি, এ নিয়ে উভয় পক্ষের আলোচনা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। চলতি বছরের শেষার্ধে অথবা আগামী বছরের শুরুতে এ চুক্তি কার্যকর হতে পারে।
ভারতের এফটিএ সুবিধাপ্রাপ্তির সম্ভাবনা ছাড়াও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে এ দেশের তৈরি পোশাক খাত চাপে রয়েছে বলে মহিউদ্দিন জানান।
November 1, 2012
Source: http://www.sharabanglanews.com
Some Subject (Many post in one subject):
- তৈরি পোশাকের বাজার (6 post in one subject)
- গার্মেন্টস স্টক লট (4 post in one subject)
- গার্মেন্টনির্ভর পেশা (4 post in one subject)
- বায়িং ব্যবসা (2 post in one subject)
- গার্মেন্টস শিক্ষা-প্রশিক্ষণ (3 post in one subject)
- বায়িং ব্যবসা (2 post in one subject)
- ব্যবসাঃ (2 post in one subject)
Some Bangladeshi Garments Website:
No comments:
Post a Comment