যাযাদি রিপোর্ট সার্ক চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আনিসুল হক বলেছেন, গার্মেন্টস শিল্পে কঠিন সময় আসলে দেশের অর্থনীতি দেউলিয়া হয়ে যাবে। এ বিপর্যয় কোনো সাধারণ অর্থনীতির হিসেবে বিষয় নয়। এর কোনো তাৎৰণিক সমাধান পাওয়া যাবে না। কেননা এ শিল্পের সঙ্গে ৪০ লাখ শ্রমিক জড়িত। যার ৯০ শতাংশই নারী। বৃহৎ এ খাতের জন্য সরকারের যা যা করণীয় তা করা উচিত।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধু আনত্দর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএপিএমইএ) ৪ দিনব্যাপী মেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, পোশাকখাতের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ (এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং) শিল্পের জন্য প্রণোদনা সহায়তা ও ব্যাংক গ্যারান্টির বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে। পোশাকখাতকে দেশের সবচেয়ে বড় এবং সফল শিল্প হিসেবে উলেস্নখ করে তিনি বলেন, তুলাসহ অনেক কাঁচামাল আমরা উৎপাদন করি না, তারপরও বিভিন্ন উৎস থেকে আমদানি ও সমাহারের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা ফাইনাল প্রডাক্ট তৈরি করেন। এজন্য উদ্যোক্তা এবং শ্রমিকের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- এশিয়ান প্যাকেজিং ফেডারেশনের সভাপতি সফিউলস্নাহ চৌধুরী, বিজিএমইএর সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন এবং বিকেএমইএর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রমুখ। বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ) আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি রাফেজ আলম চৌধুরী।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ঐতিহাসিক ও ভৌগলিকভাবে বাংলাদেশ পোশাক শিল্পের দেশ। অনেক উদ্যোক্তা এখন এ শিল্পের সঙ্গে সংশিস্নষ্ট। শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিল্প এক সময় শ্রমিক নিপীড়নের উৎস ছিল, এখন উন্নয়নের সোপান। সাম্প্রতিক বছরে শ্রমিকের বেতন প্রায় দ্বিগুন করা হয়েছে। এজন্য সরকারের চাইতে উদ্যোক্তাদের অবদানই বড়।
অনষ্ঠানে সার্ক চেম্বার সভাপতি আনিসুল হক বলেন, পোশাক রপ্তানির শুরম্নর দিকে একটা সাধারণ কার্টনও আমদানি করতে হতো, সময় লাগত চার মাস। এখন দেশে এসব কার্টন ও এক্সসরিজ তৈরি হচ্ছে; সকালে অর্ডার দিলে বিকালে সরবরাহ করতে পারছেন উদ্যোক্তারা। তবে এখাতে দৰতা ও প্রতিষ্ঠানিক শিৰার ওপর গুরম্নত্ব দেন তিনি।
সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, বর্তমান সরকার বিদ্যুৎখাত উন্নয়নে সফল, তবে গ্যাস উন্নয়নে গত দুই বছরে কিছুই হয়নি। পোশাকখাতের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের সম্ভাবনা বিশাল কিন্তু অবকাঠামো এবং উচ্চহারের ব্যাংক সুদ বড় বাধা। তিনি বলেন, ১৮ থেকে ২০ শতাংশ সুদ দিয়ে কোনো শিল্প চলতে পারে না। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের চার লেনের কাজ কেবল শুরম্ন হয়েছে, অথচ এখন ছয় লেনের প্রয়োজন। এসব বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে বলে মনত্দব্য করেন তিনি। অর্থনীতির স্বার্থে সার উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখে তা শিল্প কারখানায় সরবরাহ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মো. হাতেম। প্যাকেজিং টেকনোলজিতে অদৰতা রয়েছে এ বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিৰার জন্য উপযুক্ত ইন্সটিটিউট গড়ে তোলার কথা বলেন তিনি।
সভাপতির বক্তৃতায় রাফেজ আলম চৌধুরী বলেন, গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং পণ্য রপ্তানি করে গত অর্থবছরে বাংলাদেশ প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে। সরকারের নীতিগত সমর্থন পেলে আগামী ৫ বছরে মধ্যে এ খাত থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করা সম্ভব।Source: http://www.jjdin.com/
Some Bangladeshi Garments Website:
No comments:
Post a Comment