Sunday, October 6, 2013

মিনি গার্মেন্টস দিয়ে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত আশরাফুল

মিনি গার্মেন্টস দিয়ে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত আশরাফুল

সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) সংবাদদাতা : সাদুল্লাপুরে মিনি গার্মেন্টস দিয়ে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়েছে আশরাফুল। সরেজমিনে জানা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের মরুয়াদহ গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২৭) ২০০৪ সালে এইচ,এস,সি পাসের পর লেখাপড়ার পরিসমাপ্তি ঘটান। দীর্ঘদিন বেকার অবস্থায় ঘুরাফেরা করতে থাকে। এদিকে ঢাকায় তার এক আত্মীয় গার্মেন্টসে কাজ করেন। সে আশরাফুলকে ঢাকা থেকে কাপড় কিনে নিয়ে এসে সাদুল¬াপুরে মিনি গার্মেন্টস তৈরী করার উৎসাহ উদ্দীপনা জোগাতে থাকে। তার কথামতো ২০১০ সালে সাদুল্লাপুর বাজারের কাশারী পট্টি সংলগ্ন একটি ঘর ভাড়া নিয়ে শুরু করে দেয় মিনি গার্মেন্টস। ঢাকার ইসলামপুর থেকে বিভিন্ন ধরনের রুল কাপড়, শার্ট তৈরীর পেষ্টিং বোর্ড, সাপেস্টার ক্লিপ, পিন চিপস বোতামসহ যাবতীয় সরঞ্জামাদি কিনে নিয়ে এসে এ গার্মেন্টসে পোশাক তৈরী করে কয়েক বছরের মধ্যে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলে। এদিকে তার মালামাল জেলাসহ নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, রংপুরের পীরগাছা, কাউনিয়া, পীরগঞ্জ, শঠিবাড়ী ও মিঠাপুকুরসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সেল্স ম্যানরা সরবরাহ করে আসছে। বর্তমানে মাসে ৩৫০০ পিস শার্ট বাজারে সরবরাহ  করছে। বর্তমানে বাজারের চাহিদা ৬০০০ পিস শার্ট কিন্তু সে অনুযায়ী মালামাল দেয়া তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। কারণ ঘরের পরিধি ছোট এবং আর্থিক কিছুটা অসংগতির কারণে দামী সেলাই মেশিনের অভাবে মাল উৎপাদনে ব্যাহত হচ্ছে। দর্জির কাজে পাওয়ার মেশিন, ঝিকঝাক মেশিন, ফিড অবদা মেশিন যদি এ গার্মেন্টসে থাকতো তাহলে আরও উন্নত মানের রেডিমেট পোশাক তৈরী করে আরও ব্যাপক সাড়া ফেলাতে পারতো। বর্তমানে তার গার্মেন্টসে কর্মচারী ৯ জন। তারা প্রতিদিন ৪/৫ শত টাকা জনপ্রতি আয় করছে। আর সেল্স ম্যানরা কমিশনের ভিত্তিতে ৮ থেকে ৯শত টাকা পর্যন্ত দিনে আয় করছে।
এই গার্মেন্টসের মালিক আশরাফুল মাসে সব খরচ বাদে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় করে থাকে। এই গার্মেন্টসের মালিক আশরাফুল বলেন, সরকারি কিংবা বে-সরকারি সংস্থা এ মিনি গার্মেন্টসের দিকে আর্থিকভাবে একটু সহযোগিতার হাত বাড়ালে উন্নত মেশিনের মাধ্যমে কাজের ক্ষেত্র তৈরী করে ৭০/৮০ জন বেকার যুব ছেলে-মেয়েদের নিজ এলাকায় আত্মকর্মসংস্থানের পথ সুগম হতো। তাদেরকে আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘ পথ পারি দিয়ে ঢাকায় গিয়ে কাজ করতে হবে না।


No comments:

Post a Comment