Sunday, March 24, 2013

গলনার চরে মিনি গার্মেন্টস সমবায় সমিতি

গলনার চরে মিনি গার্মেন্টস সমবায় সমিতি


খালিদ হাসান মোর্শেদ, গাইবান্ধা করেসপন্ডেন্ট॥ গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের যমুনা নদী বেষ্টিত প্রত্যন্ত চরের গ্রাম গলনা। যোগাযোগ বঞ্চিত পিছিয়ে পড়া গ্রামের ২০ জন প্রান্তিক নারীর সমন্বিত প্রচেষ্টা আর অক্লান্ত শ্রমের ফসল গলনা মিনি গার্মেন্টস সমবায় সমিতি। যা এখন এই চরাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন আর বঞ্চিত নারীদের ঐক্যবদ্ধ আত্মনির্ভরতা আর কর্মসংস্থানের অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।
নদী বেষ্টিত এই গলনা ছ্ট্টো একটি গ্রাম যেখানে ২শ’ পরিবারের মাত্র ৯শ’ লোকের বসবাস। এর মধ্যে শতকারা ৫২ ভাগ নারী। সনাতন সামাজিক রীতিনীতি নির্ভর কুসংস্কারাচ্ছন্ন এই গ্রামীণ সমাজে নারীরা অবহেলিত নির্যাতিত। দারিদ্র্য যেখানে মানুষের জীবন যাপনকে দু:সহ এবং কষ্টসাধ্য করে তুলেছে। সেই গ্রামের নারীদের ভাগ্যের উন্নয়নের সূত্রপাত হয় ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এসকেএস ফাউণ্ডেশনের উদ্যোগে চরাঞ্চলের অবহেলিত নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অক্সফ্যামের সহযোগিতায় রি-কল প্রকল্পের কার্যক্রমের মাধ্যমে।
প্রকল্পের আওতায় নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে ২০ জন নারীকে মিনি গার্মেন্টস বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নারীরা গলনা মিনি গার্মেন্টস সমবায় সমিতি গঠন করে।
অত:পর উপকরণ, কাপড় এবং প্রয়োজনীয় মেশিন ক্রয়ের জন্য প্রকলেÍ আওতায় ২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা ঋণ প্রাপ্ত হয়।
এই থেকেই শুরু আত্মনির্ভরতার পথে এগিয়ে চলা। রুক্ষ্ম ধূসর বালুময় চরে শুরু হয় মিনি গার্মেন্টস এর উৎপাদন। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ২০ জন নারী তাদের সহযোগি শ্রমিকদের নিয়ে শিশুদের পোশাক, মেয়েদের জামা, ব্লাউজ, পেটিকোটসহ অন্যান্য পোশাক তৈরি শুরু করে। রি-কল প্রকল্পের সহযোগিতায় উৎপাদিত এসব পোশাকের ক্রেতাও জুটে যায়।
ফলে গলনার চরের নারীদের উৎপাদিত উন্নতমানের এবং স্বল্প মূল্যের পোশাক এখন বিক্রয় হচ্ছে পার্শ্ববর্তী জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জসহ অন্যান্য এলাকায়। এছাড়া জেলার ফুলছড়ি, সাঘাটার বাদিয়াখালী, ভরতখালী, গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জের চরাঞ্চলের হাট-বাজারগুলোতে। গলনা মিনি গার্মেন্টস সমবায় সমিতির সভাপতি রাশেদা বেগম বলেন, উৎপাদনে নিয়োজিত নারীরা যেমন এ থেকে লাভবান হতে শুরু করেছে।
পাশাপাশি এই মিনি গার্মেন্টসে কাজ করে গলনা গ্রামের ৭৫ জন নারী শ্রমিক প্রতিদিন ১শ’ ৫০ থেকে ২শ’ টাকা আয় করে জীবিকা নির্বাহ করছে। এ থেকে প্রত্যন্ত এ চরাঞ্চলে সৃষ্টি হয়েছে কর্মের সংস্থান।

Thursday, March 14, 2013

পোশাক শিল্পে চাকরির সুযোগ

পোশাক শিল্পে চাকরির সুযোগ


গার্মেন্টস শিল্পে বায়িং অ্যান্ড মার্চেন্ডাইজিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে উচ্চ বেতনে সম্মানজনক চাকরি করার সুযোগ আমাদের দেশে অনেক আগে থেকে রয়েছে। কিন্তু এই সংশ্লিষ্ট ডিগ্রিধারী আমাদের দেশে না থাকায় দেশের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার বেশির ভাগ অংশই বিদেশে চলে যাচ্ছে। এর ফলে পোশাক শিল্পে ক্যারিয়ার গড়তে চালু হয়েছে মার্চেন্ডাইজিংয়ের মতো বিষয় নিয়ে উচ্চতর ডিগ্রি।

বিশ্বের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থায় প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে আজকাল সাধারণ শিক্ষায় উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েও চাকরি পাচ্ছে না দেশের অসংখ্য শিক্ষিত তরুণ-তরুণী। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি নিতে হয় বাস্তবভিত্তিক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ। যার ফলে বেকারত্ব ঘুচানো অনেক সহজ হয়ে ওঠে। একে সহজ ভাষায় বলা হয় 'প্রফেশনাল ট্রেনিং'। ক্যারিয়ার গঠনে এমন একটি ফলপ্রসূ প্রশিক্ষণ কোর্স গার্মেন্টস বায়িং অ্যান্ড মার্চেন্ডাইজিং।

বাংলাদেশের পোশাকের চাহিদা রয়েছে বিশ্বজুড়ে। ফলে বেড়ে চলেছে গার্মেন্টস, বায়িং হাউজ, ফ্যাশন হাউজসহ পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। পাশাপাশি গার্মেন্টস, বায়িং এবং মার্চেন্ডাইজিং সম্পর্কিত প্রশিক্ষিত লোকের চাহিদাও বাড়ছে ব্যাপক।

শুধু দেশে নয়, বর্তমান বিশ্ববাজারে পোশাক শিল্পের বিপুল চাহিদার কারণে অন্যসব পেশার চেয়ে এ পেশায় চাকরি পাওয়াটা বেশ সহজও বটে। একেকটি পোশাক শিল্প এবং বায়িং হাউজে প্রচুর পরিমাণে দক্ষ লোক নিয়োগ করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ পেশাদারদের উচ্চ বেতনসম্পন্ন কর্মসংস্থান সুবিধা রয়েছে। এসব প্রেক্ষাপটে এ পেশার ব্যাপক দক্ষ জনবল চাহিদার কারণে আমাদের দেশেই গড়ে উঠেছে বেশ কিছু শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান।

আজকাল পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগুলো দেখলেই বুঝা যায়, প্রায় প্রতিটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতেই অভিজ্ঞতাসম্পন্ন জনশক্তির যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। আর যেহেতু পেশাকশিল্পের এ পেশাটি সম্পূর্ণ টেকনিক্যাল, কাজ তাই এ সেক্টরে প্রশিক্ষণব্যতীত চাকরি পাওয়াটা বেশ দুষ্কর। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রশিক্ষণ নিয়ে চাকরি পাওয়ার ভিত্তি শক্ত করাটাই হবে তরুণদের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ। গার্মেন্টস শিল্পে ক্যারিয়ার সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে পারবেন ০১৭৩১২২০০৯৯ , ০১৯৭১০০৯৯৯৯ নম্বরে ফোন করে।

বাংলাদেশে যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গার্মেন্টস, বায়িং হাউজ বা মার্চেন্ডাইজিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে, তার মধ্যে অন্যতম ন্যাশনাল ইনস্টিটিউিট অব ফ্যাশন টেকনোলজি (এনআইএফটি)। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত এই প্রতিষ্ঠানে গার্মেন্টস, বায়িং হাউজ, মার্চেন্ডাইজিংসংশ্লিষ্ট সব কিছুই শেখানো হয়। এখানে রয়েছে এ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কোর্স। এসব কোর্সের উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় হচ্ছে এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট, বায়িং পলিসি, ইন্ডেটিং, ব্যাংক, কাস্টমস, ডিইডিও, ইপিবি, বিজিএমআই, শিপিং, এলসি, ডক্যুমেন্টশন, করেস্পন্ডেন্টস, জিএসপি, কোটা, টোটাল গার্মেন্টস প্রোডাকশন (ওভেন, নিট, স্যুয়েটার), কোয়ালিটি কন্ট্রোলিং ফ্রেবিক্স, অ্যাকসেসরিজ, টেক্সটাইল, ল্যাব টেস্ট, কস্টিং, মার্চেন্ডাইজিং প্রোডাক্যশন প্ল্যানিং, মার্কেটিং এবং ই-মেইল , ইন্টারনেটসহ পোশাকশিল্পের আনুষঙ্গিক সবকিছু।

বাংলাদেশে প্রায় ১০ হাজার গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি রয়েছে। বৃহত্ এই শিল্পটিতে প্রায় ৫০ লাখ লোক বিভিন্ন পদে চাকরি করছে। এ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট আরও অনেক প্রতিষ্ঠানই রয়েছে। গার্মেন্টস, বায়িং এবং মার্চেন্ডাইজিং প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা এসব প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ পাবেন। জেনারেল ম্যানেজার, মার্চেন্ডাইজার, প্রোডাকশন ম্যানেজার, ফ্লোর ইনচার্জ, কোয়ালিটি কন্ট্রোলার, কোয়ালিটি কো-অর্ডিনেট, কোয়ালিটি ইন্সপেক্টর, টেকনিক্যাল ডিরেক্টর, কমার্শিয়াল ম্যানেজার, অ্যাসিসটেন্ট প্রোডকশন ম্যানেজার, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ম্যানেজার, প্রভৃতি পদ উন্মুক্ত রয়েছে তাদের জন্য। এ শিল্প বা পেশাকেন্দ্রিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা প্রশাসনিক পর্যায়ে ১০ হাজার থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পেয়ে থাকেন। পাশাপাশি রয়েছে ওভারটাইম এবং অন্যান্য আরও সুবিধা।

এনআইএফটিতে রয়েছে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শর্টকোর্স। পাশাপাশি অনার্স, এমবিএ এবং উচ্চতর আরও ডিগ্রিও রয়েছে। এখানে রয়েছে দরিদ্র, মেধাবীদের জন্য স্কলারশিপ সুবিধা। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা, খেলোয়াড়, প্রতিবন্ধী কোটাও রয়েছে। যোগাযোগ :১৪৬, ওয়ারলেস গেট, মহাখালী, ঢাকা।

Source: www.ittefaq.com.bd


Related All Post:


পোশাক শিল্পে চাকরির সুযোগ




Related All Subject (Many post in one subject): 

Tuesday, March 12, 2013

সংকটে পোশাকশিল্প, ২ হাজার কোটি টাকার স্টক লট নিজস্ব প্রতিবেদক:

সংকটে পোশাকশিল্প, ২ হাজার কোটি টাকার স্টক লট 
-নিজস্ব প্রতিবেদক:




পোশাকশিল্প এখন এক ক্রান্তিকাল পার করছে। একের পর এক হরতালে এই খাতটি দারুণ সংকটে পড়েছে। গত কয়েকদিনের হরতালে পোশাকশিল্প খাতে স্টক লট হয়েছে হাজার কোটি টাকা। বিরোধী দলের এই ধ্বংসাত্মক রাজনৈতিক কর্মসূচি শিল্পের জন্য আত্মঘাতী বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।

দেশে এই রাজনৈতিক অস্থিরতা চলতে থাকলে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের বাজার অন্য দেশে চলে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। 
তাজরীন ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকা-ে শতাধিক মানুষ মারা যাওয়ার পর থেকেই বিদেশি ক্রেতারা এদেশের পোশাকশিল্পে বিনিয়োগের ব্যাপারে নতুন করে ভাবছেন। এই অবস্থায় সম্প্রতি রাজনৈতিক অস্থিরতায় একের পর এক মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনাকে বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে নেতিবাচক করে তুলছে। একের পর এক অর্ডার বাতিল হচ্ছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সময়মতো পোশাক তৈরির কাঁচামাল আমদানি করা যাচ্ছে না। ফলে বিলম্বিত হচ্ছে পোশাক রপ্তানি। এতে অনেক শিপমেন্ট বাতিল হয়েছে। গত কয়েক দিনের হরতালে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার তৈরি পোশাকের স্টক লট হয়েছে বলে জানায় বিজিএমইএ সূত্র। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পোশাকশিল্প কারখানার মালিক বলেন, “২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আমার কারখানার একটি অর্ডার সাপ্লাইয়ের কথা ছিলো। হরতালের কারণে উৎপাদনে সময় বেশি লেগেছে। তাই নির্দিষ্ট সময়ে উৎপাদন কাজসহ শিপমেন্ট সম্পর্কিত অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করতে পারিনি। এতে অর্ডার বাতিল হয়েছে। সাড়ে চার কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হওয়ার কথা ছিলো, যা এখন স্টক লটে পরিণত হয়েছে। এখন এসব পণ্য খোলা বাজারে ৮০ শতাংশ কম দামে বিক্রি করতে হবে। কিভাবে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করবো আর কিভাবে কারখানা টিকিয়ে রাখব সে চিন্তায় মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।”
তবে হরতালে চট্টগ্রাম স্থল বন্দরের কাজে তেমন কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি বলে জানিয়েছেন বন্দরের সচিব ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, হরতালে বন্দরে মালামাল ওঠানামার ক্ষেত্রে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। আর কোনো শিপমেন্টও বাতিল হয়নি। চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, সাধারণত গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১৬শ’ কন্টেইনার ওঠানামা করলেও হরতালে তা কমে আসে। হরতালের দিনগুলোতে গড়ে প্রায় ১২শ’ কন্টেইনার ওঠানামা করে।
স্টক লটের বিষয়ে বিজিএমইএ-এর কাছে কোনো নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই বলে জানায় বিজিএমইএ।
বিজিএমইএ-এর সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, “এটি পোশাক শিল্পের জন্য আত্মঘাতী হওয়ার পূর্ব সংকেত। এ শিল্পের কাঁচামাল আমদানি নির্ভর হওয়ায় হরতাল হলেই আমদানিতে সমস্যা হয়। অন্যদিকে হাইরিস্কের কারণে শিপমেন্ট ঠিক মতো করতে পারে না মালিকরা। ফলে ক্রেতারা আমাদের ওপর থেকে আস্থা হারাতে বসেছে।”
আর যখন শিপমেন্ট ঠিক সময়ে না করতে পারে তখন সে পণ্য স্টক লট হয়, যা এ শিল্পের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। কারণ স্টক লট হওয়া পণ্য ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কম দামে বিক্রি করতে হয়। ফলে বিপুল পরিমাণ লোকসান গুণতে হয় মালিকদের। একদিনের হরতালে ব্যবসা-বাণিজ্যে তিন হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়। এসব হরতাল দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নতি হবে না। ক্ষতিগ্রস্ত হবে এ দেশের অর্থনীতি। সম্প্রতি অস্থিরতার কারণে বর্তমানে বিদেশি বিনিয়োগকারী ও প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে আসতে চাচ্ছে না। এতে অনেক অর্ডার পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও তা কমে এসেছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি।
বাংলাদেশ রপ্তানিকারক সমিতি (ইএবি) সভাপতি সালাম মুর্শেদী বলেন, “স্টক লট পোশাকশিল্পের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এটি খুব সাধারণ ভাবেই বোঝা যায় যে, মালিকরা বিনিয়োগ করে পণ্য রপ্তানি করতে পারছে না। ফলে আয় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আর স্টক লট বিক্রি করে যা আয় হয় তা খুবই নগণ্য। কোন রকম বিক্রির জন্যই তা বিক্রি করা হয়। এটি এ শিল্পের এগিয়ে যাওয়ার পথে একটি অশনি সংকেত। আর সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বর্হি:বিশ্বে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা আর আমাদের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য করবে কিনা, তা যদি পুনর্বিবেচনা করে তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।”