Thursday, August 22, 2013

পোশাকখাতে বিপর্যয় এলে অর্থনীতি দেউলিয়া হবে : আনিসুল হক

পোশাকখাতে বিপর্যয় এলে অর্থনীতি দেউলিয়া হবে : আনিসুল হক

যাযাদি রিপোর্ট সার্ক চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আনিসুল হক বলেছেন, গার্মেন্টস শিল্পে কঠিন সময় আসলে দেশের অর্থনীতি দেউলিয়া হয়ে যাবে। এ বিপর্যয় কোনো সাধারণ অর্থনীতির হিসেবে বিষয় নয়। এর কোনো তাৎৰণিক সমাধান পাওয়া যাবে না। কেননা এ শিল্পের সঙ্গে ৪০ লাখ শ্রমিক জড়িত। যার ৯০ শতাংশই নারী। বৃহৎ এ খাতের জন্য সরকারের যা যা করণীয় তা করা উচিত।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধু আনত্দর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএপিএমইএ) ৪ দিনব্যাপী মেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, পোশাকখাতের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ (এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং) শিল্পের জন্য প্রণোদনা সহায়তা ও ব্যাংক গ্যারান্টির বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে। পোশাকখাতকে দেশের সবচেয়ে বড় এবং সফল শিল্প হিসেবে উলেস্নখ করে তিনি বলেন, তুলাসহ অনেক কাঁচামাল আমরা উৎপাদন করি না, তারপরও বিভিন্ন উৎস থেকে আমদানি ও সমাহারের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা ফাইনাল প্রডাক্ট তৈরি করেন। এজন্য উদ্যোক্তা এবং শ্রমিকের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন মন্ত্রী। 
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- এশিয়ান প্যাকেজিং ফেডারেশনের সভাপতি সফিউলস্নাহ চৌধুরী, বিজিএমইএর সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন এবং বিকেএমইএর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রমুখ। বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ) আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি রাফেজ আলম চৌধুরী। 
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ঐতিহাসিক ও ভৌগলিকভাবে বাংলাদেশ পোশাক শিল্পের দেশ। অনেক উদ্যোক্তা এখন এ শিল্পের সঙ্গে সংশিস্নষ্ট। শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিল্প এক সময় শ্রমিক নিপীড়নের উৎস ছিল, এখন উন্নয়নের সোপান। সাম্প্রতিক বছরে শ্রমিকের বেতন প্রায় দ্বিগুন করা হয়েছে। এজন্য সরকারের চাইতে উদ্যোক্তাদের অবদানই বড়। 
অনষ্ঠানে সার্ক চেম্বার সভাপতি আনিসুল হক বলেন, পোশাক রপ্তানির শুরম্নর দিকে একটা সাধারণ কার্টনও আমদানি করতে হতো, সময় লাগত চার মাস। এখন দেশে এসব কার্টন ও এক্সসরিজ তৈরি হচ্ছে; সকালে অর্ডার দিলে বিকালে সরবরাহ করতে পারছেন উদ্যোক্তারা। তবে এখাতে দৰতা ও প্রতিষ্ঠানিক শিৰার ওপর গুরম্নত্ব দেন তিনি।
সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, বর্তমান সরকার বিদ্যুৎখাত উন্নয়নে সফল, তবে গ্যাস উন্নয়নে গত দুই বছরে কিছুই হয়নি। পোশাকখাতের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের সম্ভাবনা বিশাল কিন্তু অবকাঠামো এবং উচ্চহারের ব্যাংক সুদ বড় বাধা। তিনি বলেন, ১৮ থেকে ২০ শতাংশ সুদ দিয়ে কোনো শিল্প চলতে পারে না। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের চার লেনের কাজ কেবল শুরম্ন হয়েছে, অথচ এখন ছয় লেনের প্রয়োজন। এসব বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে বলে মনত্দব্য করেন তিনি। অর্থনীতির স্বার্থে সার উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখে তা শিল্প কারখানায় সরবরাহ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মো. হাতেম। প্যাকেজিং টেকনোলজিতে অদৰতা রয়েছে এ বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিৰার জন্য উপযুক্ত ইন্সটিটিউট গড়ে তোলার কথা বলেন তিনি।
সভাপতির বক্তৃতায় রাফেজ আলম চৌধুরী বলেন, গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং পণ্য রপ্তানি করে গত অর্থবছরে বাংলাদেশ প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে। সরকারের নীতিগত সমর্থন পেলে আগামী ৫ বছরে মধ্যে এ খাত থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করা সম্ভব।
Source: http://www.jjdin.com/



Some Bangladeshi Garments Website:



Wednesday, August 21, 2013

চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে বিজিএমইএ: শহীদুল্লাহ আজিম

চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে বিজিএমইএ: শহীদুল্লাহ আজিম


পোশাক কারখানায় শ্রমিক নিরাপত্তার পাশাপাশি যন্ত্রপাতি, উপকরণ ও বিনিয়োগের নিরাপত্তার প্রশ্নটি গভীরভাবে সম্পৃক্ত। সার্বিক অর্থে, বলতে গেলে- এখন আসল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে তৈরি পোশাক শিল্পখাতে সাড়ে তিন দশকের বিনিয়োগের নিরাপত্তায় পরিকল্পিত শিল্প অবকাঠামো গড়ে তোলা।
আর এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পোশাক রফতানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে বলে জানান সংগঠনটির সহ-সভাপতি মো. শহীদুল্লাহ আজিম।
সম্প্রতি রাইজিংবিডিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন। ক্ল্যাসিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহীদুল্লাহ আজিমের সঙ্গে কথা বলেন রাইজিংবিডির  অর্থনৈতিক প্রতিবেদক নিয়াজ মাহমুদ সোহেল।


প্রশ্ন: রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর পোশাক শিল্পের বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো কী? এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিজিএমইএ কতটা প্রস্তুত?

উত্তর: ব্যবসা মানেই শুধুমাত্র মুনাফা নয়; জীবনের মানোন্নয়ন ও মানবিকতাবোধের চর্চারও ক্ষেত্র। ঘটনা দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে হয়। রানা প্লাজা ধসের ঘটনা তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, কোন কোন শিল্পমালিক, জনপ্রশাসনের কর্মকর্তা, মুনাফালোভী প্রতিষ্ঠান কিংবা পর্যবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা গোষ্ঠী অবৈধ ও অনৈতিক তৎপরতায় জড়িত ছিল। বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের তদন্ত প্রতিবেদনেও একই তথ্য এসেছে। এ ঘটনার জন্য দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত হলে দুর্ঘটনা ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ থেকে শিল্প কারখানাগুলোকে রক্ষা করা সম্ভব হবে, ভবিষ্যৎ দুর্ঘটনাও এড়ানো যাবে।


প্রশ্ন: রয়টার্সের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে দামের কারণেই বিদেশী ক্রেতারা বাংলাদেশের পোশাক থেকে মুখ ফেরাবেন না-  আপনার অভিমত কী?

উত্তর: প্রতিবেদনটি যথার্থ। পোশাক শিল্পের বিশ্ববাজার বাস্তবতায় আমাদের এই  শিল্পটির জন্য রয়েছে সম্ভাবনার বার্তা। সাড়ে তিন দশকে তিলে তিলে গড়ে ওঠা বাংলাদেশী পোশাকের সস্তা বাজারটি এখনই হাতছাড়া করতে পারবেন না বিশ্ব ক্রেতারা। বিকল্প বাজার তৈরির জন্য অপেক্ষার প্রয়োজন আছে। আর এই সময়টাই বাংলাদেশের পোশাকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মনে করি এই অন্তর্বর্তী সময়টাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে।  


প্রশ্ন: এই সময়টিকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়?  এ বিষয়ে বলুন?

উত্তর: এই সময়টি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। ‘সঙ্কট’ ও ‘সম্ভাবনা’ এই দু’বিবেচনাতেই বর্তমান সময়টি গুরুত্বপূর্ণ। রানা প্লাজার ধস, এটি দুর্ঘটনা বা হত্যাকা-, যাইহোক- মানুষের নিরাপত্তাহীনতা ও সঙ্কটের অমানবিক দৃশ্যপট   বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছিল। আর সম্ভাবনা এটাই যে এতবড় দুর্ঘটনার পরও ক্রেতারা বাংলাদেশকে ছাড়তে পারছে না। সুতরাং রাতারাতি কারখানাগুলি বন্ধ হয়ে যাবে; ভাবমূর্তি ক্ষুন্নের কারণে একের পর এক দুঃসংবাদ ছড়াবে তা নয় বরং উক্ত প্র্রতিবেদনটিতে স্পষ্ট হয়েছে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের অবস্থান আর অবদান একদিনের নয়।  


প্রশ্ন: নিরাপত্তাহীনতা ও অস্থিতিশীলতা পোশাক শিল্পের বিকাশ ও সুরক্ষার পথে প্রধান অন্তরায়। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ কী ?

উত্তর: সাম্প্রতিক ডিজাস্টার থেকে আমরা যথেষ্ট সচেতন হয়েছি। ইতোমধ্যে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বিবেচনায় অনেকগুলো কারখানা বন্ধ হয়েছে। সুতরাং নিরাপত্তাহীনতার প্রতিরোধক এসব পদক্ষেপগুলো ক্রেতারা পর্যবেক্ষণ করছেন গভীরভাবে; এটা ভালো লক্ষণ। আগে অগ্নি-দুর্ঘটনা বেশি হতো। এরপরে অগ্নি-প্রতিরোধক ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে শিল্প কারখানাগুলোতে। এতে পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। ১৯৮৪ সালে সংঘটিত ভারতের ভোপালে অবস্থিত ইউনিয়ন কার্বাইডের পেস্টিসাইড প্লান্টের (ইউসিপিএল) বিস্ফোরণে ৫ সহস্রাধিক মানুষ নিহত এবং সমসংখ্যক বা তারও বেশি মানুষ পঙ্গু-বিকল্পাঙ্গ হয়েছিলেন। আর ১৯৯১ সালে নিউইয়ার্কের ট্রাঙ্গেল শার্টওয়াস্ট প্লান্টে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নিহত হয়েছিল সহস্রাধিক শ্রমিক। এসবই অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা।  সার্বিকভাবে বলতে গেলে এখন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে তৈরি পোশাক শিল্পখাতে সাড়ে তিন দশকের বিনিয়োগের নিরাপত্তায় পরিকল্পিত শিল্প অবকাঠামো গড়ে তোলা।  

প্রশ্ন: বাংলাদেশের বাজারের প্রতি বিদেশী ক্রেতাদের আগ্রহী করে তোলার  আর কী  সুযোগ বাকী রয়েছে ?

উত্তর: অনেক সুযোগ আমাদের আছে। ভারত, চীন ও ভিয়েতনামের মতো প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে আমরা বহু বিবেচনায় এগিয়ে আছি। এই খাতের সঙ্গে আমরা যারা জড়িত- উপলব্ধি করছি, শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতার কারণে আমরা বেশি আশাবাদী। এদেশের শ্রমিকদের কর্মদ্যোগ, ও দক্ষতা অন্যদেশের চেয়ে বেশি। সুতরাং  উৎপাদনশীলতা বেশি হওয়ায় প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে আমরা দ্রুত এগিয়ে গেছি এবং বিশ্বের শীর্ষস্থান দখলে নেওয়ার ক্ষেত্রেও আশাবাদী। সুতরাং পোশাক শিল্পের বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের আজকের অবস্থান ও অবদান হেলাফেলার চোখে দেখতে পারছেন না ক্রেতাগোষ্ঠী।

রানা প্লাজা ধসের পর আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী থেকে তৈরি পোশাক শিল্পখাত উন্নয়নে পরামর্শ ও সহযোগিতার যে হাত প্রসারিত হচ্ছে এসব কিছু আমাদের বলে দেয় যে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পখাতের ভবিষ্যৎ শেষ হয়ে যায়নি। রয়টার্স-এর প্রতিবেদনটির সারমর্ম আমাদের যথার্থভাবে উপলব্ধি করতে হবে। ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে, বাজার হারানো শঙ্কা রয়েছে কিন্তু সম্ভাবনা ও সমৃদ্ধি লাভের বার্তাও ছড়িয়েছে সেই প্রতিবেদনে।

প্রশ্ন: আপনি বলছেন, উৎপাদশীলতায় বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। পোশাক শিল্পের স্থানীয়করণ  নীতি অনুসৃত হওয়া আবশ্যক ছিল। এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হচ্ছে  না কেন?

উত্তর: এটা সত্য যে- দীর্ঘসময় লেগে যাচ্ছে শিল্পের স্থানীয়করণ হতে। সাড়ে তিন দশক সময় কম নয়; বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, জাতীয় অর্থনীতি, বৈদেশিক মুনাফা অর্জন এসব বিবেচনায় শ্রমঘন তৈরি পোশাক শিল্পখাত অসামান্য অবদান রেখেছে। সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় সব পক্ষ মিলে দ্রুত যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পোশাক শিল্প কারখানাগুলোকে বিশেষ শিল্প অঞ্চলে স্থানান্তর করা জরুরি। একই শিল্প জোনে অবস্থিত শত শত কারখানায় অভিন্ন উন্নত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা; শ্রমিকের জীবনমান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও সহায়ক। সর্বোপরি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, নিরাপত্তা দেওয়া এবং তদারকি পর্যবেক্ষণ করাও সম্ভব সহজসাধ্য। পরিকল্পিত নিরাপদ শিল্প অবকাঠামোয় স্থানান্তরের প্রক্রিয়ায় আমরা তৈরি পোশাক শিল্পখাতের সক্ষমতা বাড়িয়ে নিতে পারি এবং ক্রেতাদের আগ্রহ ধরে রাখতে পারি। এ কাজটি করার এখনই উপযুক্ত সময়।

প্রশ্ন: রপ্তানি সক্ষমতা বাড়াতে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বেশি সড়ক নির্মাণের ফলে নদীপথ  বিপন্ন হচ্ছে। বাড়ছে পরিবহন ব্যয়। এভাবে শিল্পায়নের অগ্রগতি কতটুকু সম্ভব?

উত্তর: বাংলাদেশ অমিত ও অফুরান সম্ভাবনার দেশ। বিশাল সমুদ্র উপত্যকা, চট্টগ্রাম বন্দর এবং জালের মতো ছড়িয়ে থাকা নদীগুলোই আমাদের কৃষি ও শিল্পের প্রাণ। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে সড়ক অবকাঠামো নির্মাণের ফলে  নদী প্রকৃতি ধ্বংস হচ্ছে। পণ্য পরিবহনের সুলভ নেটওয়ার্ক নদীপথ ধ্বংস হলে শুধু গার্মেন্টস সেক্টর নয়, সব শিল্পখাত ও কৃষিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। ইতিমধ্যে নদীপথ ও রেলপথ ছেড়ে এখন আমরা পুরোপুরি সড়ক অবকাঠামো নির্ভর হয়ে পড়েছি। এর ফলে রপ্তানি ও অভ্যন্তরীণ ভোগ্যপণ্যের মূল্য বহুগুণ বেড়েছে। সস্তা শ্রমের মতো সুলভ পরিবহন ব্যয়ও রপ্তানির অন্যতম প্রভাবক সুতরাং যে করেই হোক নদীপথ সংস্কার এবং রেলওয়ে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের মধ্যদিয়ে শিল্প বিকাশের পথে এগিয়ে যাওয়া উচিত।   

প্রশ্ন: চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী চার দশকেও কার্যকর হয়নি।  এ ব্যাপারে আপনার অভিমত কি?

উত্তর: ভৌগোলিক অবস্থান, ও বিশাল সাগর উপত্যকা চট্টগ্রামকে সমৃদ্ধ করেছে। চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী করার দাবি দীর্ঘদিনের। এই কাজটি করে আমরা জাতীয় অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে বহুমাত্রায় বাড়িয়ে নিতে পারি। পর্যটন শিল্পের বিবেচনায়ও কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম অধিক গুরুত্ব পাওয়ার দাবি রাখে। শিল্পখাত বর্তমানে যে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে এ সময়ে যদি আমরা নৌপথ ও রেলপথে পণ্য পরিবহনের সুলভ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারি তাহলে শিল্পায়ন ও রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে সমৃদ্ধ অর্থনীতি গড়ে তোলা সম্ভব।